বাঙালীর রোমান হলিডে – প্রথম পর্ব

-

হ্যাঁ, আছে, আমার জীবনেও আছে। টানা কয়েকদিন ধরে গান  শুনে বুঁদ হয়ে একা বসে থাকার বিলাসিতা আছে, রাত জেগে পছন্দের বই বারবার করে পড়ার বিলাসিতাটুকু এখনো আছে, আরো একটা বিলাসিতা আছে – যেই বিলাসটা এখন এই এক  উদ্ভট রোগের কারণে শুধুই স্মৃতিচারণ বা মানস ভ্রমণেই বাকিদের মতই সীমাবদ্ধ হয়ে কোয়ারেন্টাইন নিয়েছেন।  কলকাতা প্রাণ। তবু বেড়ানোর কী প্রচন্ড নেশা। আর বেড়ানোর সুযোগও হয়েছে বার বার, সত্যি নিজেরই মাঝে মাঝে অবাক লাগে সেইসব অভিজ্ঞতার ব্যাগগুলো সাফসুতরো করার সময়। সাধারণ মধ্যবিত্ত জীবনে, কলকাতায় বসে কখনো ভাবিনি এত সব পৃথিবীকে ছুঁয়ে দেখতে পারবো একদিন।

 বেড়ানো এখন সম্ভব নয়। তায় ফেসবুক এই  সময় রোজই বিভিন্ন বছরের বেড়তে যাওয়ার স্মৃতি তুলে এনে  সুড়সুড়ি  দেয়। তাই অনেকের অনেকদিনের অনুরোধে আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছি  দেশ বিদেশের নানা গ্রাম, নদী পাহাড়,জঙ্গল, সমুদ্র আর শহরে।

এটা ২০১২ সালের পুজোর ছুটির গল্প। আমার বর, বাংলায় যাকে আগে বলা হত ‘উনি’, তারপরে অমুকের বাবা( নির্মম ভাবে শুধু বড় সন্তানের নামের পাশে বাবা) ,তারপরে  ‘ও’, এবং এখন হাজব্যান্ড – তো সেই বর, সেই সময়টায় লন্ডনে চাকরী করছে। আর আমি মাঝ কলকাতায় একটা ইশকুলে পড়াচ্ছি। লন্ডনে এবং আশে পাশে কত বেড়ানোর জায়গা, কিন্তু বর প্রায় কিছুই বেড়াইনি, জমিয়ে রেখেছে পুজোর ছুটিতে বউ এলে একসাথে যাবে বলে। আহা, হাউ রোম্যান্টিক। 

লন্ডনের গল্প আরেকদিন বলবো। তবে ওখানে থাকাকালীনই সপ্তাহান্তের ছুটিতে এক দু দিন করে জুড়ে আমাদের প্ল্যান হল ইউরোপের কিছু জায়গা ঘুরে আসার।পুজোর পরের সময়টাতে,আমরা দুজন, এক বৃহস্পতিবারের মাঝরাতে রওনা দিলাম ঐতিহ্যে ভরা, পৃথিবীর প্রাচীনতর শহর রোমের উদ্দেশ্যে ।

৭ই নভেম্বর, বুধবার, বর অফিস করলো, আর আমি প্রবল উত্তেজনায় ব্যাগ গোছাতে লাগলাম।আমরা যেকোনো জায়গায় বেড়াতে গেলেই আগে থেকে একটু পড়াশুনা করে রাখতে ভালোবাসি। এবং রেস্তর কথা মাথায় রেখে আগে থেকে বেশ কিছু বুকিং করে রাখি, এতে সময় এবং পয়সা দুইয়েরই সাশ্রয় হয়। যাই হোক আট তারিখ ভোর বেলা ফ্লাইট ছিল। আমরা লন্ডন ইলফোর্ডে থাকতাম, সেখান থেকে গ্যাটুইক এয়ারপোর্ট যেতে বেশ অনেকটাই সময় লাগে। এমনিতে লন্ডনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এর সুনাম সর্বজনবিদিত, তবে মাঝরাত বলে আমরা ট্যাক্সি নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।  আগে থেকে বুক করা ছিল, যথাসময় ট্যাক্সি চালক এসে ফোন করেন,  সাত তারিখ মধ্যরাতে স্যামান্য তল্পিতল্পা নিয়ে আমরা রওনা হই।

সময়ের কিছু আগেই পৌঁছে যাই এয়ারপোর্টে। রায়ান এয়ারওয়েজের কাউন্টার  থেকে বোর্ডিং পাস নিয়ে ভোরের অপেক্ষা করতে থাকি।এখানে একটা ছোট্ট সমস্যা হয় – যেটা জানিয়ে রাখা ভালো। আমাদের লাগেজ বলতে ছিল – দুজনের দুটো কেবিন লাগেজের ছোট সুটকেস আর দুজনের দুটো পিঠ ব্যাগ এবং আমার একটি স্লিং ব্যাগ পাসপোর্ট ইত্যাদি খুব দরকারি জিনিসপত্র রাখার জন্য। রায়ান এয়ারওয়েজ দেখলাম সেই ব্যাপারে বেশ কঠোর। ওই স্লিং ব্যাগকেও আলাদা ভাবে গুনলো এবং আমার পিঠের ব্যাগ নিয়ে আপত্তি জানালো। অগত্যা আমার ব্যাগপ্যাকের জিনিসপত্র বরের ব্যাগে এবং আমার স্লিং ব্যাগে চালান করে, আমার পিঠের ব্যাগ, বাকী জিনিসপত্র শুদ্ধু সুটকেসে চালান দিয়ে দিলাম। যাকগে, এই সব অপকর্ম  আমি প্রায়ই করে থাকি, তাই সহজেই সব মিটিয়ে আপেক্ষা করতে থাকলাম।

 একসময় ডাক পড়ে। ছানাবেলার মত লাইন দিয়ে সবাই দাঁড়িয়েও পড়ি। ওমা কোথাও কিছু না, খুব, খুব জোড়ে এয়ারপোর্টে ফায়ার অ্যালার্ম বাজতে শুরু করে। এই অ্যালার্ম বাজার সাথে সাথেই, জেটস্পীডেই বলা ভালো, ওখানকার অফিসাররা এসে আমাদের বার করে দিলো, খোলা একটা জায়গায়। সারি সারি  প্লেনের মাঝে আমরা আবার সব সার বেঁধে দাঁড়ালাম,  ওদিকে অ্যালার্ম আর থামে না।ভয় পেয়েছিলাম বলতে দ্বিধা নেই। সত্যি আগুন লাগলো কিনা, ফ্লাইটের কি হবে, যাওয়া আদৌ হবে কিনা ভেবে ঘেমে নেয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু দেখলাম ঠাণ্ডা লাগছে খুব। আসলে এয়ারপোর্টের ভিতরে যথারীতি গরম, আমরা যে যার গরম জামা ব্যাগে, বা হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। এখন ওই মাঝরাতে, বাইরে বের করে দেওয়ায় আবার ঠাণ্ডা চাগাড় দিচ্ছে। আবার গায়ে চড়িয়ে নিলাম গরম জামা। আরাম হল। এর পর আস্তে আস্তে ওই শব্দও গেল বন্ধ হয়ে, স্বাভাবিক লয়ে ফিরলো এয়ারপোর্ট। যখন আবার  ডাক এল, পশ্চিমের দেশের  পুব আকাশ তখন লালচে আভা ছড়িয়ে ফর্সা হচ্ছে।

প্লেনে খুব দ্রুত বোর্ডিং  হল এরপর, প্রথম সম্ভাষণ হল ইতালীয় ভাষায়। সিনিয়র – সিনিয়রে শুনে খুব আমোদ  পেলাম। সদ্য দেখা পুস  ইন বুটস মনে করিয়ে দিল। সস্তার ফ্লাইট। তাই জল, এবং কফি  দিল মিষ্ঠি হেসে। গরম কফি নিলাম, ব্যাগ থেকে বের করলাম স্বপাক চিকেন স্যান্ডুইচ।জানলা দিয়ে আকাশটাকে দেখতে দেখতে, গল্পে, প্ল্যানিংএ, ব্রেকফাস্ট , এবং কিঞ্চিৎ পাওয়ার ন্যাপে, আড়াই ঘণ্টার জার্নি জমে গেল।

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি – ফ্লুমিচিনো এয়ারপোর্টে নেমেই মনে হল প্লেনে নয়,  টাইম মেশিনে করে পাড়ি দিয়ে চলে এসেছি হাজার হাজার বছর আগে। আগে থেকেই আমাদের বাসে বুকিং করা ছিল। নির্দিষ্ট জায়গায় বাসের নাম্বর লেখা রয়েছে, এয়ারপোর্টের ঠিক বাইরেই। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাস এসে হাজির। মালপত্র গেল বাসের পেটে,  আমরা আমাদের সিটে বসে মুগ্ধ হয়ে নতুন  দেশ দেখতে দেখতে চললাম। কিছুদূর যাওয়ার পরেই, রাস্তার মাঝখানটায়  বিশাল একটা  পুরনো প্রবেশদ্বারের রেলিক দেখতে পেলাম। টাইম ট্রাভেলের ভাবটা আরো মজবুত হল। ঢুকেই পড়লাম ইতিহাসের বইয়ের পাতায়।

আধঘণ্টার মত জার্নি করে চলে এলাম রোম সিটি সেন্টার। এখানে বেশ ভিড়। গড়িয়াহাটের পুজোর বাজার না হলেও, উইক ডের সকাল দশটার নিউ মার্কেট তো বটেই। আসলে এখানে একই  সাথে টার্মিনি বাসস্ট্যান্ড এবং মেট্রোর  জংশন। বহু টার্মিনাসের সংযোগস্থল বলেই খুব সম্ভবত টার্মিনি নাম ।তার ওপর ব্যাংক, অফিস, খাওয়ার দোকান, সাইবার ক্যাফে ইত্যাদি প্রচুর।  জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে এবার হোটেল খোঁজার পালা। আমাদের বুকিং করা ছিল। হোটেলের নামও টার্মিনি।

 কলকাতায় আমরা কেমন পোমোটার ( র ফলা নেই কিন্তু) কাকুদের দিয়ে বাড়ি রিমডেলিং করে হোটেল করি জানেন তো। টোটাল ভেঙে দিয়ে অন্য রকম দেখতে একটা বাড়ি বানাই।এরা দেখলাম ঠিক উলটো । টার্মিনি হোটেলটায় ঢুকেই মন ভালো হয়ে গেল। পুরনো বাড়ি। বাইরেটা একই রকম ধাঁচ রাখা। ভিতরে চওড়া, পুরনো কাঠের সিঁড়ি। আর সিঁড়ির মাঝখানটার চৌকো জায়গায়  বাক্স লিফট। ঠিক আমাদের ডালহৌসি চত্বরের পুরনো অফিসের মত।কত যত্ন করে মিশেল দিয়েছে এরা  নতুন আর পুরনো সময়টার। সবাই মিলে পুরনোকে মেরে ফেললে আর বাঁচিয়ে রাখবো কি করে বলুন তো।

যাই হোক, আমাদের ঘরটা বিশাল নয়, তবে বড়, পরিষ্কার বিছানা, সুন্দর বাথরুম, ঘরে একটা রাইটিং ডেস্ক জানলার ঠিক পাশটায়। মাইক্রোওয়েভ, ইলেকট্রিক কেটল ইত্যাদি আধুনিক ব্যাবস্থাগুলোও নিখুঁত। একবার বাইরেটায় উঁকি দিলাম রাইটিং ডেস্কের পাশ থেকে। দেখলাম পুরনো বাড়িগুলো, আর এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি অবধি টানানো, দড়ির টানটান রঙিন জামা গুলো,  দুহাত বাড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে।

লোভ সামলাতে না পেরে, বাক্স প্যাঁটরা ঘরে নামিয়েই আরেকবার বেড়িয়ে পরলাম চারপাশটা ঘুরে জায়গাটার আরেকটু স্বাদ নিতে। আর ইতালি যখন তখন স্বাদ টা একাটা  বড়  ব্যাপার তো বটেই । হাঁটতে হাঁটতে সামনেই একটা ক্যাফে তে যাওয়া হল। কফির গন্ধে আটকে গেলাম। তবে ক্যাপুচিনো না বলে খুব কায়দা করে অর্ডার দিলাম  ওয়ান  কাফে লাতে  অ্যান্ড ওয়ান কাফে মোকা প্লিজ। পরের চমকটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ক্যাফের কাউন্টারে অপরপ্রান্ত থেকে পরিষ্কার নিখুঁত উচ্চারণে উত্তর এলো- “ বসেন আপনারা, গরম কফি আসছে। আপনারা কবে আসছেন?”। কফি খেলাম আর একটু ঘোরাঘুরি করেই বুঝলাম যে, যদি বাংলা ভাষা  জানেন, তাহলে ইতালিতে ইতালীয় ভাষা না জানলে কোনই অসুবিধা নেই, ইংলিশ না জেনেও  চালিয়ে দিতে পারেন স্বচ্ছন্দে। যাকগে মেট্রো পাসের খোঁজ নিয়ে দেখলাম আমাদের পক্ষে এক সপ্তাহের মেট্রো পাস  নেওয়াই সুবিধা, যদিও থাকবো চারদিন। তবু এক সপ্তাহের পাস নিলাম কারণ ডেইলি, বা তিন দিনের, বা এক সপ্তাহের পাস পাওয়া যায়। এবং দামের ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া গেল।আর বেশ কিছু সিটি ম্যাপ, মেট্রো রুটের ম্যাপ ইত্যাদি  নিয়ে হোটেলে ফিরে এলাম। আরামের স্নান সেরে নিলাম, আর মাইক্রোওয়েভে গরম বসালাম, বাড়ি থেকে করে নিয়ে যাওয়া বিরিয়ানী আর চিকেন কারী। হায় বাঙালী, এত লোভ কেন রে  তোদের। একটু গড়িয়ে নিলাম, আগের দিন রাতেও ঘুম হয়নি বলে। তবে সূর্যদেব পাট গোটানোর ঘণ্টা দেড়েক আগেই আমরা আবার বেড়িয়ে পড়েছি। টার্মিনি স্টেশন থেকে মাত্র মিনিট দশেকের মেট্রো যাত্রায় পৌঁছে গেলাম কলোসিয়ো স্টেশনে।

সূর্য তখন শেষবারের চেয়ে দেখে নিচ্ছে তাকে, তার চোখেও যেন পরম বিস্ময় আমারই মত । তফাৎ শুধু একটাই, কলোসিয়মকে আমরা দেখছি প্রথমবার আর এই  সূর্য্যিমামা দেখেছেন প্রায় উনিশশো পঞ্চাশ বছর ধরে।

ক্লাস থ্রি তে প্রথম আমাদের পড়ানো হয় তিন যুগের সপ্তম আশ্চর্যের কথা। তখন থেকেই, কাউকে না বলা একটা  স্বপ্ন ছিল, এদেরকে সামনে থেকে দেখার। কষ্ট হত,  যখন পড়েছিলাম ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান আর নেই। ছোট্ট মনটা  কত কি কল্পনা করে নিত এইসব সপ্তম আশ্চর্যের কথা ভেবে।

যখন প্রথম কলোসিও স্টেশনের থেকে ওপরে উঠছি তখনই দেখতে পেলাম কলোসিয়মের একটা অংশ। পরিণত বয়েসেও সেই ক্লাস থ্রির মেয়েটা ফিরে এসে বলল ধ্যাৎ – এটা নকল তো, দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের মত এটারও সব ঝুট হ্যায়। এ কি করে হয় যে আমি সত্যিই কলোসিয়মের সামনে দাঁড়িয়ে আছি!! এই বিস্ময় আমার আজও কাটেনি।সামনে থেকে বারবার দেখেও কিছুতেই  বিশ্বাস হচ্ছিল না। প্রদক্ষিণ করলাম বাইরে থেকে,  সুভেনির শপ তখনো খোলা, তবে ঢুকতে ইচ্ছে করলো না। আসলে ফিরতে ইচ্ছে করছিল না এই সময়টাতে। কিছুটা দূরের কলোসিয়ম থেকে উঁকি দিচ্ছে প্রাচীন স্তম্ভগুলো, আমাদের যেন গ্রাস করে নিচ্ছে এই শহর, সময়ের ব্যবধানের অঙ্ক, অতীতে ফিরে যেতে না পারার নিয়ম যেন আজ সে মানতে চাইছে না আমাদেরই মত।জমিয়ে রাখা কত গল্প, ছবি, ঝগড়া আর কান্নার গল্প শোনাবে বলে তাদের  যেন আর তর সয় না। আমরাও অপেক্ষা করতে থাকি পরের দিন শুরু হওয়ার।

সেই রোম। সেই রমিউলাস আর  রেমাস, যাদের মাতৃস্তন্য  পান করিয়েছিল এক মা নেকড়ে, তাদের হাত ধরে নাকি শুরু হয়েছিল রোম নগরী। মেট্রোতে করে ফেরার পথে এসব ভাবতে ভাবতে খেয়াল হল, যদিও সন্ধ্যা, তবু ক্ষিদে পাচ্ছে। আবার টার্মিনিতে ফিরে ঘুরতে ঘুরতে নাকে এল মেল্টেড চীজের সুঘ্রাণ। আর সেই অমোঘ ডাক আর উপেক্ষা করার গেল না।

 আমরা বেড়ানোর ক্ষেত্রে একটা নিয়ম মেনে চলি। প্রমোদ আর ভ্রমণ দুটোকে এক করিনা। তাই কোথাও বেড়াতে গিয়ে খুব দামী রেঁস্তোরায় খাওয়া বা বিশাল বিলাস বহুল হোটেলে থাকার গল্প আমাদের কাছে কমই  আছে। যাকগে, ইতালীতে এসে পিজা খাবো ভেবে লাফিয়ে গেলাম দোকানে। বর বাবু অসম্ভব সেফ খেললেন এবং চিকেন পিজা স্লাইস নিলেন, আর আমি বেশী বাঙালিয়ানা আর মৎসপ্রেম দেখাতে গিয়ে টুনা পিজা অর্ডার করলাম। শুনেছি আমার অন্নপ্রাশন হয়নি, তবু সেই খাওয়া বা না খাওয়া ভাত উঠে এলো প্রায়।এরপর, মনকে ঘুষ দিলাম এই বলে যে খেয়ে নে এবারের মত, খেয়ে নিলে মৎজারেলা চীজ স্টিক খাওয়াবো। সেইসব বলে এবং চীজ স্টিক দিয়ে মুখ শুদ্ধি করে ডিনার সারলাম। পরের দিনে সারাদিন ঘোরার অপেক্ষায় এই দিন শেষ করলাম তাড়াতাড়ি। পরের দিন যাওয়া হবে কলোসিয়মে, যাওয়া হবে রোমান ফোরাম।

ক্রমশ…….

রাতের রোমনগরী

Share this article

Recent posts

Popular categories

3 COMMENTS

  1. খুবই উপভোগ্য লেখা। পরেরটার অপেক্ষায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Recent comments